Affiliate FAQ (এফিলিয়েট প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্নঃ টি-শার্টে এফিলিয়েট কমিশন ১৫% থেকে বাড়িয়ে ৪০% করেছেন এটা কি কোনো অফার? আবার এখন ১৫% করা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ এফিলিয়েট কমিশন প্রডাক্ট স্টক ও কম্পানীর খরচের উপর নির্ভর করবে। তবে কমিশন ১৫% থেকে ৪০% এর মাঝেই থাকবে ইনশাআল্লাহ্।
প্রশ্নঃ আমি খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছি কিন্তু কাষ্টমার অর্ডার করতে পারছেনা। কি করব?
উত্তরঃ এটা একটি খুবই সাধারন সমস্যা। অনেক কাষ্টমারই আছেন যারা ওয়েবে অর্ডার প্লেস করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে আপনি কাষ্টমারের হয়ে নিজে অর্ডার প্লেস করে দিবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন অর্ডারটি যেন আপনার প্যানেল থেকে প্লেস করা হয়। অর্থাৎ আপনার রেফারেল আইডি থেকে অর্ডার প্লেস করবেন। এভাবে আপনি আপনি ফেসবুক পেজ/ আইডি/ ইন্সট্রাগ্রাম/ইউটিউব/ ওয়াটস এ্যাপসহ যেকোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে যে ট্রাফিক জেনারেট হয় তাদের সাথে চ্যাট করে বা ফোনে কথা বলে অর্ডার প্লেস করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একটু কষ্ট বেশী হবে কিন্তু আপনার অর্ডার বেড়ে যাবে।
প্রশ্নঃ লিংক জেনারেট করা আমার পক্ষে কঠিন মনে হচ্ছে ? কি করতে পারি?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে আপনি একটি এক্সেল শিট মেইন্টেইন করতে পারেন। একবার সেইভ করে রাখার পর বার বার কাজ করতে পারবেন। এছাড়া প্রডাক্টের ছবি পোস্ট করে ম্যানুয়ালি কাষ্টমারের সাথে চ্যাট করে ফোনে কথা বলে অর্ডার নিয়ে আপনি আপনার প্ন্যানেলের রেফেরাল লিংক থেকে নিজেই অর্ডার করে দিতে পারেন।
প্রশ্নঃ পেমেন্ট কিভাবে পাবো? দেওয়ার প্রসেস কি?
উত্তরঃ পেমেন্ট বিকাশ / ব্যাংক/অফিস থেকে সরাসরি এসে সংগ্রহ করা যাবে। পেমেন্ট থ্রেসহোল্ডঃ ৩০০০ টাকা। অর্থাৎ প্রথম ৩০০০ টাকা জমা হলে টাকা উঠিয়ে নিতে পারবেন বা আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক মাসের ১৫ তারিখ কিংবা ৩০ তারিখ সেটি পেমেন্ট করে দিবো অটোমেটিক।
প্রশ্নঃ অর্ডার রিজেক্ট হয় কেন? অথবা আমার প্যানেলে আনপেইড আর্নিং রিজেক্ট হয় কেন?
উত্তরঃ যখন আপনার রেফারেল লিংক থেকে অর্ডার আসে তখন সেটি আমাদের সিস্টেমে প্রসেসিং অবস্থায় থাকে। এবং আপনার প্যানেলে আনপেইড আর্নিং জমা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে আমাদের ডেলিভারি সেকশন থেকে কাষ্টমারের কন্টাক্ট নাম্বারে আমরা কল দিয়ে প্রাপকের এ্যাড্রেস সহ অন্যান্য ব্যাপার নিশ্চিত করে তারপরে কুরিয়ার করে থাকি। কল করার সময় যদি কাষ্টমার কোনো কারনে অর্ডার ক্যান্সেল করেন, সেক্ষেত্রে আমরা যখন সিস্টেম থেকে অর্ডারটি ক্যান্সেল করি তখন আপনার প্যানেলেও কমিশন রিজেক্ট দেখায়। ঠিক একইভাবে কুরিয়ার করার পর যদি কোনো কারনে প্রডাক্ট রিসিভ না করে, ডেসটিনেশন থেকে ফেরত আসে সেক্ষেত্রে আমরা সিস্টেমে প্রডাক্টটি রিটার্ন/আনডেলিভার্ড দেখানো হয়। তখন একইসাথে আপনার প্যানেলে কমিশন রিজেক্ট হয়ে যায়। আপনার রিজেকশনের ব্যাপারে ইনকোয়ারি করতে চাইলে আমাদের সাপোর্টে যোগাযোগ করুন।
প্রশ্নঃ এফিলিয়েট নিজের জন্য অর্ডার করলে কোনো অফার/ডিসকাউন্ট পাবে?
উত্তরঃ জ্বি। মুলত এফিলিয়েট তার নিজের প্যানেল থেকে অর্ডার করলে যে কমিশন আসে সেটাই অফার বা ডিসকাউন্টের আওতাভুক্ত হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ ক্রেতার কাছে পন্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কি আমাদের পেজের কোনো রেফারেন্স থাকবে না?
উত্তরঃ জ্বি না। এফিলিয়েট একটি মার্কেটিং জব। এখানে মুলত আমরা সবাই একটি ওয়েব থেকে অর্ডার জেনারেট করছি। সবাই একসাথে একটি ওয়েবসাইটের পার্টনার হিসেবে কাজ করছি। সাথে আমরা বিনিময় পেয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্নঃ টি-শার্টে আরবী ব্যবহারে কোনো অসুবিধা আছে কিনা?
উত্তরঃ আরবী একটি ভাষা। আরবী ভাষায় কুর-আন নাযিল হয়েছে তাই এই ভাষার উপর আমাদের আলাদা শ্রদ্ধা আছে। টি-শার্টে আরবী ভাষা দেখে অনেকে অতিভক্তি থেকে ভয় পেয়ে যান। কিন্তু ইসলাম আদৌ কোনো ব্যবপারে অতিভক্তিকে সমর্থন করেনা। আরবী একটি বহুল ব্যবহৃত ভাষা। অফিশিয়ালি ২২ টি দেশে এই ভাষা ব্যবহার হয়। ( https://bit.ly/2ZOE9ST) এছাড়াও আরো অনেক দেশে ব্যাপকভাবে ভাষাটি ব্যবহার হয়। এই দেশগুলোতে আরবী যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা হয়। সেটা বাথ্রুমের ভেতরে হোক, জুতার নিচের কোম্পানির নাম হোক, সব জায়গায় এটি ব্যবহার হয়। এরাবিক লিখা দিয়ে প্রচুর টি-শার্ট এসকল দেশে বহুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে।
আমাদের টি-শার্টে আরবী ব্যবহার করা এইজন্যই যে এই ভাষার উপর আমাদের ভালোবাসা ব্যাপক। যারা এই ভাষা ভালোবাসে, ইসলামকে ভালোবাসে তারাই কিন্তু এই টি-শার্টগুলো পরিধান করে। আমাদের দেশের কিছু মানুষ এরাবিক মানেই কোরানের অংশ মনে করে। তাই না জেনে তাদের মাঝে একটা ভুল ধারনা কাজ করে যে হয়তো এটাই কোরান।
লক্ষ্য করবেন কিছুদিন আগে রাস্তায় পেশাব করার জায়গায় আরবীতে লিখে দেয়া হয় “এখানে পেশাব করা যাবে না” এতেই একপ্রকার অতিভক্তি থেকে মানুষ ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। ঠিক একইভাবে টি-শার্টে আরবী দেখে যদি আপনি না জেনে অতিভক্তি করেন সেটা অজ্ঞতা হবে। টি-শার্টে যে বিষয়গুলো লিখা জায়েজ নয় তার মাঝে অন্যতম হল সরাসরি যেকোনো ভাষায় “আল্লাহ” নাম ব্যবহার করা। লক্ষ্য করবেন আমরা আমাদের কোন টি-শার্টে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করিনা। অন্যদিকে অনেক আলেমগন আল্লাহ লিখতেও অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু আমরা সেই বিতর্কে যাইনি। এছাড়া আরবীতে সরাসরি কোরানের অংশ লিখা এটায় জায়েজ নয়।
টি-শার্টে ইসলামিক বিষয়গুলো লিখা নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের মাঝে আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, মুফতি শাহ আলম, মুফতি কাজী ইব্রাহীম অন্যতম।